ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া “ঘুম এবং মৃগীরোগ” বিভাগের পরিচালক কার্ল বাজিল এ বিষয়ে বলেন, “যে সব লোক ঘুমের ওষুধ নেন তারা ভালো ভাবেই জানেন এটি মানব দেখের জন্য কতটা ক্ষতিকর। কিন্তু তারা জানেন না এটি শরীরে কি পরিমাণে ক্ষতি করে।”
কার্ল বাজিল আরও বলেন, “ঘুম না হওয়ার সহজ সমাধান হিসেবে কাজ করে ঘুমের ওষুধ। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী সমাধান এটি নয়। তবে বেশিদিন ঘুমের ওষুধ গ্রহণের অভ্যাস লিভার এবং কিডনির মারাত্মক ক্ষতি করে।”
ঢাকা’র কুর্মিটোলা হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, বাংলাদেশের বর্তমান ইয়াং জেনেরেশন এর মধ্যে বিষন্নতায় ভোগার পরিমাণ অনেকটা বেশি দেখা যাচ্ছে। তারা এই মানসিক বিষন্ন থেকে মুক্তি পেতে ঘুমের ওষুধের সাহায্য নেয়। একবারে বেশি ঘুমের ওষুধ খাওয়া হলে তা লিভার এবং কিডনির গুরুতর ক্ষতি করতে পারে এবং দীর্ঘ দিনের অভ্যাস খুব ধীরে ক্ষতি করবে।”
ডা. মোহাম্মদ কামরুল হাসান আরও বলেন, “ঘুমের ওষুধ কেন্দ্রীয় স্নায়ু তন্ত্রকে দুর্বল করে দেয়। তার ফলে হ্যালুশিনেশন এবং বিভ্রান্তির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ঘুমের ওষুধে আসক্ত হয়ে পড়লে তা পানি পিপাসা কমিয়ে দেয়, তাতে করে শরীরে পানি শূণ্যতা দেখা দিতে পারে ফলে তা কিডনিতে প্রভাব ফেলে। এই কারণে অনেক সময় হেপাটাইটিস ধরনের রোগও হতে পারে।”
তবে সব ধরনের ঘুমের ওষুধ একই ধরনের প্রভাব ফেলে না। ডা. মোঃ কামরুল হাসান জানান, ঘুমের ওষুধের প্রভাব ভেদে ৩টি ভাগে ভাগ করা যায়। এর মধ্যে এক ধরনের ওষুধ মস্তিষ্ককে উদ্দীপনা জাগায়।
আর অপরটি হিপনোটিপ বা ঐ ওষুধ গুলোর কারণে সেবন কারীর হ্যালুশিনেশন বা ভ্রান্তির সমস্যা গুলো দেখা দেয়। আরও কিছু ধরনের ঘুমের ওষুধের তালিকায় রয়েছে যা বহুল প্রচলিত নেশা দ্রব্য হিসেবে ও ব্যবহার হয়। মানুষ এগুলো গ্রহণে খুব সহজেই আসক্ত হয়ে যায়।
ডা. মোঃ কামরুল হাসান আরও জানান, কিছু কিছু ঘুমের ওষুধের আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য ওষুধ পাওয়া গেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ আসক্তি থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে অন্য ওষুধ তেমন একটা কাজ করে না।